তরিকুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
দেশে ভোক্তা অধিকার পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে হলে স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় বা সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান গঠন করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ভোক্তা অধিকার সংস্থা কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটির (সিসিএস) নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ।
শুক্রবার (২০ জুন) বিকেলে রাজধানীর উত্তরা বাংলাদেশ ক্লাবে সিসিএসের এক সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক, বাংলাদেশ ক্লাব লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বিশিষ্ট শিল্পপতি এম. কফিল উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, একজন ব্যবসায়ী হিসেবে আমাদেরও ভোক্তার অধিকার জানা প্রয়োজন।
ভোক্তা অধিকার নিয়ে যারা কাজ করে তারা আসলে আমাদের জীবন রক্ষার আন্দোলন করছে।
এই আন্দোলনে প্রত্যেকে নিজের জায়গা থেকে যুক্ত থাকতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পলাশ মাহমুদ বলেন, মাত্র এক শতাংশ মানুষ ৯৯ শতাংশ ভোক্তাকে নিয়ন্ত্রণ করে। ভোক্তারা ঐক্যবদ্ধ হলে সেটা আর পারবে না। এজন্য ভোক্তা আন্দোলনকে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। ভোক্তা অধিকার পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে হলে, ভোক্তা মন্ত্রণালয় বা কনজ্যুমার অ্যাফেয়ার্স নামে আলাদা মন্ত্রণালয় করতে হবে, অথবা ভোক্তা অধিদপ্তরকে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান করতে হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে থেকে ভোক্তা অধিদপ্তর কখনোই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না, ভবিষ্যতেও পারবে না।
পরিচিতি ও মতবিনিময় সভায় মহানগর উত্তরের বিভিন্ন থানা থেকে সিসিএসের প্রায় দেড় শতাধিক স্বেচ্ছাসেবী-সংগঠক উপস্থিত ছিলেন। সেখানে ফুড হাইজেনের ওপর প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করা হয়।
সিসিএস ঢাকা মহানগর উত্তরের কো-অর্ডিনেটর জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে এ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্থাটির নারায়ণগঞ্জ জেলা কো-অর্ডিনেটর মনিরুল ইসলাম মনি।
তিনি বলেন আমাদের সবাইকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ সম্পর্কে জানতে হবে এবং নিজে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি অন্যদেরও সচেতন করতে হবে। যদি কোন ভোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত বা প্রতারিত হয় তবে তিনি ভোক্তা অধিকার হটলাইন ১৬১২১ নাম্বারে কল দিয়ে অভিযোগ দিবেন এবং ৩০ দিনের মধ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে তথ্য প্রমান সহ ঘটনার বিবরন দিয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ করবেন। অভিযোগ অনুযায়ী জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর থেকে অভিযান পরিচালনা করবে এবং ভোক্তাকে তার সমস্যার সমাধান দিবে। তিনি আরো বলেন সিসিএস যোদ্ধারা থেমে নেই, তারা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে ভোক্তাদের সচেতনতা বাড়াতে এবং তাদের অধিকার রক্ষা করতে। সভায় তিনি সিসিএস কেন্দ্রীয় শ্লোগান দিয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন।
ভোক্তা হলে সচেতন, বন্ধ হবে অনিয়ম।
ভোক্তা বাঁচলে বাঁচবে দেশ,
সিন্ডিকেট মুক্ত হবে বাংলাদেশ।
যৌথভাবে সভা সঞ্চালনা করেন দক্ষিণখান থানা সিসিএস-এর সদস্য, ফুড ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার রাকিবুল ইসলাম এবং উত্তরা পূর্ব থানা সিসিএস-এর সদস্য সাদিয়া চৌধুরী পুতুল। অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটিতে ছিলেন সাদিয়া আফরোজ, সানজিদা ইসলাম নিতু, সাকিব উদ্দিন কাদরী, মোহাম্মদ আলী, গিয়াস উদ্দিন, শরাফত করিমসহ আরও অনেকে।
CCS- Conscious Consumers Society