তরিকুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
সোনারগাঁও উপজেলা ১০ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত উপজেলাটি।সোনারগাঁও উপজেলার জনগুরুত্বপূর্ণ একটি ইউনিয়ন পিরোজপুর এখানকার রাস্তা ঘাটের যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় অনেক সময় টহলরত পুলিশের টিম আসতে সমস্যায় পরেন আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দেদারসে রমরমা মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন মাদক কারবারিরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পিরোজপুর ইউনিয়নের একাধিক এলাকাবাসী বলেন,ইউনিয়নের দুধঘাটা, কোরবানপুর,সহ পাচআনী নদীর ঘাটে হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় ক্ষতিকারক মরন নেশা ইয়াবা গাজা সহ বিভিন্ন মাদক। মাদক সেবন, বেচা কিনা এখানে অনেকটা ফ্রি স্টাইলে চলছে। খুব সহজে মাদক পাওয়া যাওয়ায় ব্যাপক হারে যুব সমাজ মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে, যুব সমাজের পাশাপাশি কিশোর ও ছাত্র সমাজ মাদকের সাথে জড়িয়ে (মাদকাসক্ত হয়ে) পড়ছে। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছে। দিন দিন তাদের চিন্তা আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। এ বিষয়ে এখানে প্রশাসনিক তেমন কোন তৎপর না থাকায় এর প্রভাব দিন দিন আরো বাড়ছে।অভিযোগ রয়েছে প্রশাসনিক স্থানীয় অসাধু জনপ্রতিনিধি ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের নীরবতা ও গোপন চুক্তির মাধ্যমে দিন দিন
মাদক ব্যবসায়ীরা তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বীরদর্পে । এতে এসব অপরাধীদের প্রভাব ( দাপট) আরো বেশি বেড়ে যায়। যার ফলে মান সন্মান ও ইজ্জতের ভয়ে কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায়না। দু’এক জায়গায় মাদকের বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অনেককে নাজেহাল হওয়াসহ মারধর খাবার ঘটনাও ঘটেছে।
এলাকাবাসীর দাবী জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে সামনে আরো খারাপ অবস্হা বিরাজ করার আশংকা রয়েছে।
এদিকে এই উপজেলায় কিশোর গ্যাং এর তৎপরতা বেড়ে গেছে। তাদের উৎপাতে এখন দিশেহারা সাধারণ লোকজন। এসব উঠতি বয়সের ছেলেরা গ্যাং সৃষ্টি করে স্কুল কলেজে পড়ুয়া ছাত্রদের জড়িয়ে বিভিন্ন অপরাধজনিত কাজ করছে। জড়িয়ে পড়ছে মাদকের মত একটি নেশার সাথে। নেশার টাকার জন্য জড়িত হচ্ছে চুরি ডাকাতি ছিনতাই এর মত বিভিন্ন ধরণের অপরাধের সাথে। এসব কিশোর গ্যাং এর সদস্যগণ স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যাওয়া ছাত্রীদের বিভিন্ন ভাবে উক্ত্যাক্ত করে থাকে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আশপাশে জড়ো হয়ে সিগারেট ও গাজা টানতে দেখা যায়। কেউ কিছু বললে তাদের নাজেহাল করে। বেশ কয়েক জায়গায় কয়েকটি অঘটনও ঘটেছে।
উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের এমন কোন ওয়ার্ড বাকি নেই যে মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকাসক্ত নেই।অভিযোগ রয়েছে পিরোজপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের পাচআনী নদীর পাড় এলাকায় রয়েছে একটি সংঘবদ্ধ মাদকের সিন্ডিকেট মাদকের হটস্পটখ্যাত পাচআনী নদীর ঘাটে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলে মাদক বেচাকেনা ইউনিয়নের বিভিন্ন পথ দিয়ে নিয়মিত মাদকের চালান যায় বলিয়া লোকমুখে শুনা যায়। মাদক ব্যবসা অনেক লাভজনক হওয়ায় দিন দিন এ ব্যবসায় জরাচ্ছে যুব সমাজ প্রশাসনের কোন তৎপরতা না থাকায় মাদকাসক্ত হয়ে পরছে অনেক শ্রেনী পেশার মানুষ।
এলাকার সচেতন সমাজের দাবী জরুরীভাবে উপরস্থ মহল অভিযান পরিচালনা করে।
মাদক পাচার ও সেবন করা বন্ধ করা না হলে এর পরিনতি ভয়াবহ হবে।
এবিষয়ে পরিবেশ রক্ষা উন্নয়ন সোসাইটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইন বলেন :- যুব সামাজ দেশের সম্পদ আর এই যুব সামাজ মাদকের ভয়াল থাবায় নিরবে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তাদের শুধু আইনের আওতায় আনলেই হবে না..তারা কেন মাদকের মত ভয়াল থাবায় জরিয়ে যাচ্ছে তা ক্ষতিয়ে বাহির করে কার্যকর ব্যবস্থা রাখতে হবে..
সোনারগাঁও থানার তদন্ত কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম রাশেদ বলেন মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে,,, মাদক ব্যবসায়ীরা দেশ এবং সমাজের শত্রু যেখানেই মাদক ব্যবসায়ীদের সন্ধান পাবেন আমাদের তথ্য দিবেন আমরা ব্যবস্থা নেব।