
তরিকুল ইসলাম নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু অনলাইন মাধ্যমে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে তিনি তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সোনারগাঁয়ের পানামা রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “আমি দীর্ঘদিন সুনামের সঙ্গে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছি। সম্প্রতি কিছু অসাধু মহল ফেক আইডি ও অনুমোদনহীন অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য ছড়াচ্ছে। এ বিষয়ে আদালতের মাধ্যমে দ্রুতই আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
তিনি অভিযোগ করেন, একটি কুচক্রী মহল সাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছে এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে তাঁর ব্যক্তিগত ও সামাজিক মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। সরকারি বরাদ্দকৃত উন্নয়ন কার্যক্রমে অংশ নিতে সাবেক সাংসদদের সঙ্গে তাঁর কিছু ছবি থাকলেও তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন এবং কোনো পদ-পদবিও কখনো গ্রহণ করেননি বলে দাবি করেন।
মামুন বলেন, “গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর থেকে ওই ছবিগুলোকে কাজে লাগিয়ে আমাকে রাজনৈতিকভাবে হেয় করার চেষ্টা চলছে। কিন্তু কেউ প্রমাণ করতে পারবে না যে আমি কোনো দলের কর্মী বা পদধারী।”
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হওয়ার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি জানান, ইউনিয়নের ১০ জন নির্বাচিত সদস্য সর্বসম্মতভাবে রেজুলেশন পাস করে তাঁকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এ বিষয়ে কোনো আর্থিক লেনদেন বা রাজনৈতিক প্রভাব ছিল না বলেও তিনি স্পষ্ট করেন।
এ সময় তিনি আরও জানান, ফেক আইডি ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং তিনি আশা করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত এ অপপ্রচারকারীদের আইনের আওতায় আনবে।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “সঠিক তথ্য যাচাই করে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করুন। ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত স্বার্থে বিভ্রান্তিকর সংবাদ যেন প্রচারিত না হয়। দেশ ও জাতির স্বার্থে সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করা প্রয়োজন।”